সার্চ করুন

সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

আমরা জঙ্গী নই

আমরা মুসলিম সারা বিশ্বে শান্তির নিগদ চায়
আমাদের ভুল বুঝোনা দিও তোমাদের হৃদয়ে ঠায়,
আজ ইসলাম জাতি ভুবনের কাছে অপরাধী
প্রত্যহ সময় লাঞ্ছিত করে দিচ্ছে মোদের সমাধি।
অগ্রের দিকে এগিয়ে চলে হার মানেনা তাঁতি
সব কিছুতে পিছিয়ে পড়ছে এইতো মোদের জাতি,
ধর্মগুরু আছে যারা গড়ে তুলছে অস্ত্রাগার
মন্দির আর মসজিদ হচ্ছে কূটনীতির মন্ত্রণাগার!
ধর্ম স্থানে বসে তারা সকলকে দিচ্ছে কুমন্ত্রণা
তার কারণে মানুষ ভোগ করছে তীব্র যন্ত্রণা!
গীতা কোরানের বাণী শুনিয়ে দিচ্ছে উল্টো বুদ্ধি
জিহাদ করলে পরেই নাকি হবে মোদের শুদ্ধি।
গুপ্তস্থানে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলছে জঙ্গী
মুখোশধারী ধর্ম রক্ষক হচ্ছে তাদের সঙ্গী!
হাতে খড়গ কাঁধে বন্দুক ছুটছে অমর্ষ দানব
ধর্মের নামে নির্মম ভাবে হত্যা করছে মানব!
কত স্ত্রী স্বামি হারালো মা'য়ের কোল হলো খালি
এমন করুণ দৃশ্য দেখে উর্বী দিচ্ছে গালি,
ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম এটাই চরম সত্য
হাদিস আর কোরানে বর্ণিত আছে তথ্য।
ইসলাম কভু দেয়নি হুকুম মানুষ হত্যা করতে
তবে কেন জঙ্গী হয়ে যাচ্ছো তাদের মারতে!
পুরোহিত আর মৌলবাদীর দল করছে সর্বশেষ
হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে অবশেষ।
অর্থলোভি ধর্ম কর্তার জঞ্জাল ঠকাচ্ছে অবিরত
আজ অসহায় মানুষের রক্তে অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত!
সঠিক পথ দেখাবে মোদের এমন ধর্মগুরু কই?
অশ্রুসিক্ত নেত্রে বলছি তোমাদের আমরা জঙ্গী নই!


রচনাকালঃ- ১৮/১০/২০১৭

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

প্রশ্ন

ক্ষণস্থায়ী প্রেমে কখনো কি মানুষ বাঁচে?
তবে অধমাঙ্গ রেখেছ কেন ভাঙা কাঁচে,
দুদিন পরেই কাটবে মোহ,
চিত্ত অনলে হবে দাহ!
উপেক্ষা করে দূরে ঠেলে দিবে নিশ্চয়,
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?

শ্রাবণ নীরদের বৃষ্টি হয়ে তুমি আসবে,
মাতাল ভ্রমরের অঙ্গ ভিজিয়ে মিথ্যে ভালবাসবে!
বলবে তখন কত কথা,
অন্তরে থাকবে স্মৃতি গাঁথা।
ক্ষোভে চলে গেলে প্রণয়ের হবেনা জয়,
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?

গোলাপের পাপড়ি মেলে পুরঁজনে এসে ফুটবে.
অগতির নড়ী ধরে সবুজ প্রান্তরে ছুটবে।
দেখাবে সহস্র রঙিন স্বপ্ন.
উত্ক প্রাণ আবেগে মগ্ন।
তোমার দেওয়া আর্তিতে হবে লোচন জলময়!
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?

মায়াবী রূপের ছলনায় এ-মন নেবে কেড়ে.
ক্ষণিকের প্রেম দিয়ে অবশেষে যাবে ছেড়ে!
বয়বো কতকাল বিরহের ভার.
বিষাদে কতর হব ছারখার!
মর্ম চূর্ণিতে বলবে কোন পাপ নয়.
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?

কোকিল কণ্ঠের রাগিণী হয়ে করবে দিশাহারা.
তোমার আভায় কাঁপবে দ্যুলক বয়বে বারিধারা।
নক্তের শয়ন যাবে উড়ে.
উতলা কলেবর পীঠিকায় পড়ে।
মিথ্যে প্রণয়ের নামে তবু করবে অভিনয়!
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?

উষসী গড়িয়ে যখন নিরংশু নামবে কালো.
অখিলের শশাঙ্ক হয়ে তুমি জ্বালবে আলো।
আশয়ের উপর রাখবে মাথা.
নিছনি দিবে তীব্র ব্যথা!
প্রতি পলকে থাকবে শুধু হারানোর ভয়!
বলতে পারো ভালবাসা কেমন করে হয়?


রচনাকালঃ- ১৩/১০/২০১৭

শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

এই বরষায়

দ্যুলকে উঠলো দেখো ঘন
মাতাল হলো আজ বন,
চারিদিকে নামলো আঁধার কালো
চমকে উঠছে বিজলি আলো।

পুলকে অম্বুদ করে গর্জন
নেমে এলো আজ বর্ষণ,
জাগলো অন্তরে আবেগী মায়া
ভিজতে চায় প্রেমময় কায়া।

এসো প্রকৃতি তোমায় ডাকে
পোড়োনা যেন কোন বিপাকে,
জলমগ্ন মাঠে দেবে সঙ্গ
এসো অভিলাষে ভেজায় অঙ্গ।

তোমায় নিয়ে নাচবো ধানক্ষেতে
পিরিতে হৃদয় উঠেছে মেতে,
একটু পরেই নামবে তমসা
এমন ক্ষণের নেই ভরসা।

কদম কুসুম বেঁধে খোঁপায়
এসো সমাবেত হই এ-বেলায়,
সবুজ প্রান্তে দুহাত বাড়িয়ে
বর্ষণমুখর লগ্নে আছি দাঁড়িয়ে।

এসো তবে ঝরঝর বৃষ্টিতে
চেয়ে দেখো প্রণয়ীনীর দৃষ্টিতে,
বসেছে আজ বকের মেলা
এসো বৃষ্টিতে করি খেলা।

যদি আজ প্রাণ কাঁদে
পড়ে আবেগী প্রণয়ের ফাঁদে,
যদি মনে পড়ে আমায়
চলে এসো এই বরষায়।


রচনাকালঃ- ০৮/১০/২০১৭

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

তোমার প্রতীক্ষায়

আমি ডাকলে এসো সবুজ প্রান্তে
দু'হাত বাড়িয়েছি ঐ দূর দিগন্তে,
বিরহে কাতর অন্তর ফেটে চৌচির
যেন অক্ষির গাঙে উত্তাল নীর!

দৃষ্টিতে ভাসে সেই ধু-ধু মরুভূমি
গ্রীষ্মের তাপে সুকিয়েছে বুকের জমি,
মন ছুটে যাই বৃষ্টির গহীনে
শ্রাবণ প্রদোষে প্রেম জেগেছে বর্ষণে।

শীতল পবনে শাখী দোলায় অঙ্গ
বৃষ্টিতে স্নাত অটবি যেন নিঃসঙ্গ,
মন কাঁদলে এসো চিত্তের পিঞ্জিরায়
পথ চেয়ে আছি তোমার প্রতীক্ষায়।


রচনাকালঃ- ০৪/১০/২০১৭

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

শরতের আগমন

ভাদ্রের শুরুতে শরতের আগমন
প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় জাগে শিহরণ,
শুভ্রের আঁচলে শরৎ আসে
শেফালির মালায় প্রকৃতি হাসে।

গগনে ভাসে অম্বুদের ভেলা
করে প্রকৃতি নিত্য খেলা,
ঝিরঝির অনিলে দোলে কাশবন
শিউলির সুগন্ধে ভরে মন।

সোনালী আতপ প্রশান্তি আনে
নিরংশু ক্ষণদা জ্যোৎস্না টানে,
আপগার নীরে বিধুর কিরণ
কুঞ্জ রঙ্গনকে করে বরণ।

মিষ্টি প্রভায় মৃদুমন্দ সমীর
সবুজ ধানক্ষেত যেন অধীর,
বৃষ্টিতে ভিজে পুষ্পের রেণু
অন্তরীক্ষে ফুটে ওঠে রংধনু।


রচনাকালঃ- ৩০/০৯/২০১৭

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

ছোট্ট পৃথিবী

আচ্ছা-
সবাই বলে তাদের পৃথিবী খুব ছোট্ট
আর তাতে তারা খুব সুখেই আছে,
কিন্তু আমার মনে প্রশ্নের উদয় হয়
তবে সবার মত আমার পৃথিবীও ছোট্ট?

হ্যা সত্যিই-তো!
ছোট্ট, তবে সেখানে কোন সুখ নেই
আছে শুধু অসহ্য যন্ত্রণায় ভরা কান্না!
প্রতিদিন জমে অগণিত মানুষের ভিড়
কিসের খোঁজে তারা করে কোলাহল।

কি খোঁজে তারা?
ভেবেছিলাম কটা দিন সুখে কাটাব
তাই বন থেকে ধরে এনেছিলাম সুখপাখি,
সো-তো রইলো না অন্ধকার পৃথিবীতে
মনের অজান্তেই কোথাই যেন উড়ে গেল!

কবে ফিরবে সে?
তিলে-তিলে কল্পনায় সাজিয়েছি পৃথিবী
সেখানে আছে ভাবনায় মোড়ানো স্মৃতি,
মাঝে-মাঝে ভাবুক সমুদ্রের ঢেউ এসে
ভাসিয়ে নিয়ে যাই এক ভিন্ন জগতে।

সে জগত আলাদা-
সেখানে আছে নীরবতায় ভরা রোমাঞ্চ
গা থমথমে বনানীর মাঝে শান্ত প্রকৃতি,
তবুও শুনতে পাই না কোকিলের কন্ঠ
নেই তিল পরিমাণ সুখের ছিটেফোঁটা!

হ্যা ঠিক তাই-
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে বসবাস করে
কিছু মুখোশধারী ক্ষতিকর দানবের দল,
ওরা মানবের উপর নির্বিঘ্নে করে প্রহার
শুনি অসহায় নগ্ন শিশুদের চিৎকার!

এত পীড়ন কেন?
আমার পৃথিবীতে ভাসে লুকোনো চিত্র
সহস্র প্রাণী ক্ষুধার জ্বালায় মরে!
হতাশায় মৃত্তিকা ফেটে হয় চুরমার
দারিদ্রতার পথে দাঁড়িয়ে থাকে জীব!

এত উন্মাদ কিসের!
সবার ছোট্ট পৃথিবীতে আছে কত শান্তি
তবে শুধু আমার পৃথিবীটা এমন কেন?
তাদের পৃথিবীতে তো ভাসেনা এমন চিত্র
তবেকি অসহায়ের সাথে আমার সম্পর্ক?

এ কেমন সম্পর্ক!
তাই আমার পৃথিবীতে নেই কোন সুখ
প্রতিক্ষণে দৃষ্টিতে ভাসে কষ্টের চিত্র!
আজ সবার পৃথিবী থেকে ছিন্ন হয়েছে
বিরহে ভাসমান আমার ছোট্ট পৃথিবী।


রচনাকালঃ- ২৬/০৯/২০১৭

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

শেষ চিঠি

মালতি-
আমাদের দীর্ঘ ভালবাসার শিকল ছিড়ে তুমি চলে গেলে।
এখন আমি ঘুমহীন দুচোখে প্রতিটা রাত জেগে থাকি!
নিঃঝুম আঁধারে মানুষ ঘুমায় পাখিরাও ঘুমায়,
তুমিও হয়তো অজানা কোন শহরে তোমার স্বামীর
উষ্ণ প্রেমের পরশে ঘুমিয়ে থাকো অবলীলায়।

আচ্ছা-
কখনো কী আমার জন্য তোমার কাঁদতে ইচ্ছে করে না?
ঠিক যেমনভাবে আমি কাঁদি!
কথা ছিলো কোন দুরত্ব থাকবে না জীবনে।
পড়ন্ত বিকেলে নদীর ধারে
হাতে হাত রেখে দুজনে একসঙ্গে পথ চলব,
তারপর যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বে শরীর
তখন আমরা বসে পড়ব সবুজ ঘাসে।

অতচ আজ-
সেই নদীর তীরে আজ আমি একা হাঁটি!
কেন?
কোন একদিন হাত ছুঁয়ে জানতে চেয়েছিলে
তুমি না থাকলে কী করব আমি;
তোমার মুখের দিকে চেয়ে বলেছিলাম মরে যাব!

আমার দুই কামরা ঘরের দেয়ালে
দুঃখ আর হাহাকার মাকরসার জালের মত ছড়িয়ে!
আমার ঘরের জানালার গারদে
ঝুলে থাকা বেগুনি পর্দায় স্মৃতিরা দোল খায়;
আর স্তব্ধতা এসে ভর করে বুকে।

এখন প্রতিটা বিকেল কাটে তুমি ছাড়া
আমার সন্ধ্যারাত আর সকাল গুলো যেন শূন্য!
অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে দেখি কোথাও তুমি নেই
তাই আর বাঁচতে চায় না আমিও!

হ্যা-
আজ আমি আত্মহত্যা করে বুঝিয়ে দেব!
কতটা ভালবেসে ছিলাম তোমায়।


রচনাকালঃ- ২১/০৯/২০১৭

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

বৃষ্টি তুমি আসবে?

শ্রাবণের ঝরঝর বারিধারা বর্ষণে,
যদি ভিজতে চায় উল্লাসিত অঙ্গ!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

সবুজ বনানীর বৃক্ষ হয়ে,
যদি প্রখর রোদে যাই শুকিয়ে!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

নিয়তির গড়া শঙ্খচিল হয়ে,
যদি চায় ডানা মেলে উড়তে!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

আষাঢ়ের এই বর্ষণমুখর লগ্নে,
যদি ধরতে চায় প্রেয়সীর হাত!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

সর্ষে ফুলের ডাক পেলে,
যদি ভ্রমর হয়ে যেতে চায়!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

নিস্তব্ধ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে,
যদি দেখতে চায় তোমার অস্তিত্ব!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

নীল আকাশের চাঁদ হয়ে,
যদি মেঘের আড়ালে যাই হারিয়ে!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

শীতের সকালে শালিক হয়ে,
যদি স্পর্শ করতে চায় শিশিরকণা!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

বিরহের বেদনায় কাতর হয়ে,
যদি চোখের অশ্রু চায় লুকোতে!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

ব্যস্ত নগর ভিড়ের মাঝে,
যদি নিঃশ্বাস হয়ে যাই রুদ্ধ!
বৃষ্টি তুমি আসবে?

জীবনের শেষ ক্ষণের শয্যায়,
যদি হয়ে যাই চিরতরে নিঃশেষ!
বৃষ্টি তুমি আসবে?


রচনাকালঃ- ১৭/০৯/২০১৭

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

ভিন্ন দেয়াল

খণ্ড অস্তিত্ব মেয়াদ হারানোর বিষাদে কাতরায়
ণিপাত বরণের দিন এগিয়ে আসে সম্মুখে!
তবুও মানব বাঁচে কিছু পাবার উমেদে
উদ্বিগ্ন মায়াবী বিবর্ণ বসুন্ধরার বুক থেকে।
অন্তর থেকে যেন মুছে ফেলেছে ভালবাসা
তাইতো প্রলয়কে তুচ্ছ ভাবে নব প্রজন্ম!
অসূয়ার দহনে তৈরি হয়েছে ভিন্ন দেয়াল
প্রত্যহ কী যেন খুঁজে ফিরে ওরা মহীতলে।
অবিন্যস্ত সংকল্প উত্তুঙ্গ বারীশের লহর ভেঙে
যেতে চায় বিশারদ থেকে বিশারদ কুঞ্জে,
নিথর সুধীর প্রকৃতির উপর করে প্রহার
অবশেষে সৃষ্টি হয় এক দুর্দান্ত ভূ-কম্পন!
মিথ্যের আড়ালে লুকিয়ে ওরা করে গেঁড়াকল
বিদীর্ণ করে সততার তৈরি করা প্রাচীর!
আগামী প্রভাতের নেশায় হয়ে ওঠে উন্মাদ
তবু রঙিন শিখী যেন মেলেনা পেখম।
ওদের পীড়নে যখন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সভ্যতা
তখন আর্তির মাঝেও খোঁজে শান্তির লেশ,
নিরাধার মানব নিঃশ্ব হয়ে করে আত্মহনন
তবুও ওদের প্রতিকূলে করেনা কখনো প্রতিবাদ।
আধুনিক সংঘ অসতীত্বের দেওয়া সূক্ষ্ম ক্বেশে
আপন চিত্তের সাথে করে নিস্ফল আন্দোলন!
ওরা বলে পারবেনা কেউ ভেদ করতে
নিন্দিত শিলা দিয়ে গড়া ভিন্ন দেয়াল।


রচনাকালঃ- ১২/০৯/২০১৭