সার্চ করুন

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

সবুজ পত্র


ওগো প্রিয় তোমার তরে
না জানি কোন দুঃস্বপ্নের ডরে!
আজ কাঁদি আমি নির্জনে
কত কথা জমে আছে এই মনে।

ওগো গগনে ওড়া পাখি
পথ চেয়ে বসে আছে তার আঁখি,
এখনি হল নব প্রভাত
পৌঁছে দাও মোর সওগাত।

ওগো শ্রাবণের ঝর-ঝর বৃষ্টি
আজ কর এমন কিছু সৃষ্টি,
নিরাশায় মরে গেল কত কলি
ধুয়ে মুছে নিয়ে যাও মোর কথাগুলি।

ওগো নীরব বন; সবুজ প্রান্তর
বেদনায় কাঁদে-গো আবেগী অন্তর!
অশ্রু দিয়ে লিখলাম সবুজ পত্র তারে
রেখে এসো প্রিয়তমার দ্বারে।

ওগো পূর্ণিমার চাঁদ; দখিনা বাতাস
সুদূর প্রান্তরের নীল আকাশ,
প্রেয়সীর কাছে ছুটে যাও
তাকে না বলা কথা পৌঁছে দাও।

ওগো নিশিথ আসমানের তারা
ব্যাকুল হৃদয় হল-গো দিশাহারা!
সে কভু আসবেনা ফিরে জানি
তার হাতে তুলে দাও প্রেমের বাণী।

নিভে গেল প্রদীপ জ্বলেনাকো কাঠি
পদ্মপাতায় লিখলাম তাকে চিঠি,
ওগো নদী মোর কাছে যা আছে
তুমি নিয়ে যাও তার কাছে।


রচনাকালঃ- ১০/১২/২০১৮

শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

পতিতা রাজনীতি


শুনেছি,
রাজনীতিতে প্রবেশ করলেই নাকি;
নোট ছাপানোর যন্ত্র হাতের মুঠোয় আসে?
আর দুর্নীতি করা যায় অবাধে।

তাই বুঝি, দিন-রাত্রি রক্ত শোষণ করেছ গরিবের!
যে কৃষক তার অক্লান্ত পরিশ্রমের দিয়ে,
ফলিয়েছে সবুজ ক্ষেতে সোনার ফসল্
তোমাদের নোংরা রাজনীতির কারণে
তাদের করতে হয়েছে আত্মহত্যা!

ভোটের আগে,
দিয়েছ বারংবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি!
জাতি বিবাদে দাঙ্গা লাগিয়ে মেরেছ
বহু অসহায় নিরাপরাধ মানুষকে!
দিকে দিকে বেড়েছে বেকারত্ব!
দেশের উন্নয়ন তো দূরের কথা -
তোমরা করতে চেয়েছ অযধ্যায় রাম মন্দির।
আমি বলি, কি হবে মন্দির মসজিদ গড়ে?
নির্মান কর কারখানা;
তবেই ঘুচবে যুব সমাজের বেকারত্ব।

শুধু কি তাই?
যে শ্রমিক তার শ্রম দিয়ে তিলে-তিলে গড়েছে কারখানা
তোমরা শুষে নিয়েছ তাদের অক্লান্ত ঘাম!
জনতার টাকা লুটে তৈরি করেছ রাজপ্রাসাদ;
যেখানে প্রতিপদে বেড়েছে জিনিসপত্রের মূল্য
অন্যদিকে ভোগবিলাসে তোমরা কাটিয়েছ দিন।

প্রতিনিয়ত বেড়েছে,
জ্বালানির গ্যাস ও পেট্রলের দাম;
জি-এস-টি'র কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ছোট ব্যবসায়ী!
আবার তোমরা বল আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে!
তবে আজ কোথায় গেল আচ্ছেদিন?

পতিতা নারীদেরও আছে সম্মান!
তারা অর্থের বিনিময়ে করে দেহ বিক্রি
তবু তোমাদের মত ঠকায়না মানুষকে,
আজ তোমরা হয়েছ -
পতিতা নারীর থেকেও নিম্ন শ্রেণীর!
যগ্যতা নেই, তবু অর্থের বিনিময়ে বসেছ গদিতে;
আহা! মূর্খ নেতা-নেত্রীদের হাতেই
হবে আগামী দিনে দেশের উন্নতি।


রচনাকালঃ- ০৩/১২/২০১৮


বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

দ্রোহের অনল


আমি বিদ্রোহী চির বিদ্রোহী
সোনার বাংলার মুক্ত বীর,
থাকি লড়ায়ের প্রতি আগ্রহী
নত হবেনা উন্নত শির।

রাজনীতি সাজায় মায়াবী গল্প
ধর্মকে করে সদা হতিয়ার,
সাম্প্রদায়িকতার ফাঁদে পড়ে প্রকল্প
বিবশের নেই কোন নিস্তার!

সভ্যতার ইমারতে কলঙ্কের ছাপ
চলে দিকে দিকে অপরাধ,
বাড়ে পৃথিবীর বুকে পাপ
ভাঙ্গে জনতার ধর্য্যের বাঁধ।

রক্তে রাঙা তাদের কলেবর
পড়ে থাকে অগণিত লাশ!
ছোবল মারে অভুক্ত নর
লুপ্ত হয় মানবতার নিঃশ্বাস।

দেশের বুকে অন্যায় হলে
ছাড়ি আজরাঈলের মত হুঙ্কার!
পুড়িয়ে মারি দ্রোহের অনলে
আমি বজ্রের মত ভয়ঙ্কর!

তাই ধরেছি কলম হাতে
তাদের তখ্ত করব চুরমার!
খুলব মুখোশ আগামী প্রভাতে
বিদ্রোহ করে যাব প্রখর।


রচনাকালঃ- ০১/১২/২০১৮

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

আমি কুমারী মা'য়ের সন্তান


মা,
সবাই আমাকে অপমান করে!
বলে, আমি নাকি পতিতার সন্তান!
বলনা মা; পতিতা কাকে বলে?
কি আমার পিতৃ পরিচয়?

মা কেঁদে উত্তর দিলেন!
কাছে আয় খোকন -
এতে তোর কোন দোষ নেই,
আজ তোকে সব বলব
এ সমাজ আমাদের কেন এত ঘৃণা করে।

আমাদের দেশে তখন এসেছিল বন্যা
হারিয়েছিলাম ঘর-বাড়ি আর পিতা মাতা!
অবশেষে আশ্রয় নিয়েছিলাম ফুটপাতে।
গভীর রাতে,
ভদ্রতার মুখোশ পরা কিছু মানুষ এসে;
বল প্রয়োগ করে আমায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল্
বেচে দিয়েছিল চর্মের দালান কোঠায়!

সেই রক্তঝরা রাতে,
ভদ্র সমাজের পুরুষরা সারা রাত ধরে,
করেছিল নিথর অঙ্গে ক্রুশের আঘাত!
সেখানে আসতো বহু ছদ্মবেশী পুরুষ,
তারাই বানিয়েছিল কিশোরীকে মা।
অবশেষে ওই নরক থেকে পালিয়ে এসে
শত আঘাত সহ্য করেও তোকে জন্ম দিয়েছিলাম।

আমি কুমারী মেয়ে,
মা হয়েছি বলে -
এই সমাজ আমাকে ঘৃণা করে!

সব শোনার পর,
কেঁদে বললাম! মা;
আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও!
এ সমাজ তোমায় শত আঘাত দিলেও
আমি কখনো কষ্ট দেব না;
প্রয়োজন নেই কোন পিতৃ পরিচয়ের!
আমার পরিচয় -
তুমি আমার করুণাময়ী মা।


রচনাকালঃ- ২৬/১১/২০১৮

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

সে যেন আমায় ডাকে


তার মন অস্থির মোর প্রণয়ে
থাকতে চায় না শূন্য আলয়ে,
আবেগী হৃদয় শোনেনা বারণ
অঙ্গে জেগে ওঠে শিহরণ।
গভীর বনে ওই যে দূরে
মন দিশাহারা হয় তার সুরে,
আঁচলে নয়ন লুকায় লাজে
ছম ছম শব্দে নূপুর বাজে।

তার বদন ভাসে লতার ফাঁকে,
দুহাত বাড়িয়ে -
সে যেন আমায় ডাকে।

পুলকে নিস্পাপ মুখে ফোটে হাসি
ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠে বাঁশি,
আমায় না বলা কত কথা
আজো তার অন্তরে রয়েছে গাঁথা।
প্রতিক্ষিত নয়ন করে ছল ছল
বিরহে কাতর বুক টলমল!
আমায় কেন এত ভালোবাসে
কেন সে বার বার ছুটে আসে।

অশ্রু জমে আঁখির বাঁকে!
করুণ সুরে -
সে যেন আমায় ডাকে।


রচনাকালঃ- ১৯/১১/২০১৮

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

শীতের রাত্রি

আমাদের শহরে পড়েছে প্রচন্ড শীত
ঠান্ডার প্রকপে পশু-পাখি কাঁপে,
ঘুম থেকে উঠে বাইরের দৃশ্য দেখে
বুঝলাম পৃথিবী ধোঁয়াতে আচ্ছন্ন;
ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না।
চারিদিকে রংবাহারী ফুলের আহ্বানে
ছুটে আসে প্রজাপতি আর মৌমাছি,
সর্ষে ফুলের ক্ষেতে অপরূপ দৃশ্য
যেন হলুদ বর্ণের মেলা বসেছে।

রাত্রি হলো
গেলাম আমি ঘুমতে,
সারা অঙ্গে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমনোর চেষ্টা
করি কিন্তু ঘুম আর আসলো না
কিছুক্ষণ পর উঠে পড়ি বিছানা থেকে;
তখন সময় প্রায় রাত ১টা।
বাড়ির মুখ্য দর্জা গুলে বাইরে বেরিয়ে
শুনতে পেলাম একটি শিশুর কান্না!
কিছুদূর এগিয়ে যেতেই-
অবাক করা এক দৃশ্য চোখে পড়ে,
টর্চ জ্বেলে দেখি
এক মহিলা তার ছোট্ট শিশুকে ছেড়া আঁচল
দিয়ে ঢেকে শীতে থর-থর করে বসে কাঁপে!
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি ঘন কুয়াশা
ওপর থেকে ঝরে পড়ে বৃষ্টির মতো
নীল প্রান্তে মিট-মিট করে জ্বলে কয়েকটা তারা
উত্তরের হিমেল বাতাস হু হু করে ছুটে আসে।

তার এমন করুণ দৃশ্য দেখে
আমার দুচোখে চলে আসে জল!
তখন মনে পড়ে যায় সেই বাল্য কালের স্মৃতি,
আমার মা'ও ঠিক এমন ভাবেই আগলে রাখতেন
জননীর আঁচলতলে শিশুদের নিরাপদ স্থান;
তিনি শত কষ্ট পেলেও-
তাঁর সন্তানের শরীরে একটা আঁচড় লাগতে দেন না।

এই মহিলাকে দেখে মনে হলো,
আজো পৃথিবীতে কত মা এভাবে
নিজের ভাগ্যের সঙ্গে প্রত্যহ করে লড়াই!
আজো কত মা পথের ফুটপাতে কাটায় জীবন!
কত মানুষ তাদের ঘরছাড়া!
সমাজের বুকে আজো তারা লাঞ্ছিত বঞ্চিত!
দারিদ্রতা এমন এক অসুখ যার কোন চিকিৎসা নেই
নিয়তির খেলা বড় আযব
কেউ ষোনার চামচ মুখে দিয়ে বড় হয়
আর কেউ ফুটপাতে জীবন কাটায়।

আমি বাড়ি ফিরে এসে,
কিছু খাবার আর একটি কম্বল নিয়ে গিয়ে
দিলাম ঐ অসহায় মহিলার হাতে
তিনি আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকলেন এক দৃষ্টিতে।
আমি কোন কথা বলার পুর্বেই
তিনি প্রশ্ন করলেন, কে তুমি?
আমি বললাম, আমি আপনার ছেলের মতো
কোন সন্তান কি তার মা'কে একা রেখে যেতে পারে?
তাই আমিও আপনাকে এই নির্জন রাতে
শীতের মধ্যে একা রেখে যেতে পারলাম না।
তিনি আমার কথা শুনে কেঁদে ফেললেন!
আমি বললাম মনে করুন না আমি আপনার সন্তান,
চিন্তা করলাম এত রাতে তাঁকে একা
ফেলে রেখে যাওয়া উচিত হবে না
তাই তাঁকে নিয়ে এলাম আমার বাড়িতে।

রাতের আঁধার ঠেলে সূর্যের উদয় হলো
সকালবেলা তিনি আমায় বললেন,
তুমি আজ আমার জন্য যা করলে
অন্য কেউ হলে তা হয়তো করতো না!
সত্যি তুমি আমার ছেলের মত।
আমি পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে
তাঁর হাতে দিয়ে
বললাম দেখুন কিছু মনে করবেন না; এটা ধরুন,
এই টাকা আমি আমার মা'কে দিলাম;
তারপর তিনি আমার মাথায় হাত রেখে
আশীর্বাদ করে চলে গেলেন।


রচনাকালঃ- ১৮/১১/২০১৮

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

মুক্ত বীর


ভারতীয় সিমান্তে থাকে মহা বিপদ
প্রতিক্ষণে নিতে হয় মৃত্যুর ঝুঁকি,
দেশ রক্ষার তাগিদে থাকি প্রস্তুত
ওপারের শত্রুরা বারংবার দেয় উঁকি।

সম্মুখে আসে বাধা বিপত্তি
তবু পাই না কখনো মৃত্যুকে ভয়!
চোখে চোখ রেখে লড়াই করি
মোর কদম পিছু হোটবার নয়।

সদা হাতে ধরে থাকি রাইফেল
যা শত্রু ধ্বংসে পবনের মতো চলে,
আচমকা রক্তের খেলায় উঠি মেতে
নিজেকে সোঁপে শপথের বেড়াজালে।

দৃষ্টির সামনে একবার শত্রু দেখলেই
নিজেকে রাখতে পারিনা আর স্থির,
তৎকাল ঝাঁপিয়ে পড়ি তাদের ওপর
আমি এক ভারতীয় মুক্ত বীর!

বেলা গড়িয়ে যখন নামে আঁধার
সীমান্তের প্রতিচ্ছবি হয় আরো ভয়ংকর,
নিদ্রা রজনীতেও শুনি গুলির আওয়াজ
অন্তরে ক্রোধের আগুন জ্বলে প্রখর!

দেশের জন্যে সদা প্রাণ দিতে প্রস্তুত
আসুক না যতই বিপদের তুফান নেমে,
মৃত্যুর সাথে প্রতিদিন আলিঙ্গন করি
এ যুদ্ধ কখনো যাবে না থেমে।


রচনাকালঃ- ১৪/১১/২০১৮

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

আমরা বাঁচতে চায়


আমরা বাঁচতে চায়!

এ পৃথিবী ভরে গেছে পাপে
শত কলঙ্ক বুকে নিয়ে কালো মৃত্তিকা,
অসুর দানব পাতাল ভেদ করে উঠছে
আর কত দিন অত্যাচারীদের মার খাব!
রক্ত শোষণ করেও মিটছে না পাপীদের ক্ষুধা
ওদের ভয়ে আমরা হচ্ছি পথভ্রষ্ট,
অপমানে অনেকেই করেছে আত্মহত্যা!

আমরা বাঁচতে চায়!

ঐ কাপুরুষের দল গো-হাটে মনুষ্যত্ব-
বিক্রি করে আজ সেজেছে দালাল,
পঙ্গু করে দিয়েছে আমাদের জীবন;
আজ বাসা বেঁধেছি কুঁড়ে ঘরে
তবু অন্ধকারে জ্বলে না আশার প্রদীপ।
কবে খুঁজে পাব আলোর দিশা?
কবে ঘুচবে আমাদের ভয়?

আমরা বাঁচতে চায়!

ঐ স্বার্থান্বেষীদের কাছে বিশ্বাস হচ্ছে খুন্ন,
ধনীরা হয়ে উঠছে আরো ধনী
আমরা কাঙ্গালের মতো দিন হীন!
আশ্রয় চায় তবে হতে চায় না দাস।
প্রতীক্ষায় রত সবাই এমন এক শক্তির
যে শক্তি আমাদের রক্ষা করবে,
সে হবেনা কখনো উৎপীড়কের
সদা দুর্বলের হাত ধরে চলবে।

আমরা বাঁচতে চায়!

চিরকাল মরেছি তিলে তিলে!
জানিনা কবে খুলবে শান্তির দ্বার,
কবে হবে জালিমের সাংহার!
সব কেড়ে নিয়েছে ঐ অত্যাচারীরা
তাই আজ আমরা নিঃস্ব।
আমরাও পেতে চায় সুখ শান্তি
কেউ শোনেনা অন্ধ জীবনের ফরিয়াদ,
বহু সুখ হারিয়েছি
কবে হবে চির কল্যাণ?
কবে উঠবে আসমানে পূর্ণ চাঁদ?
আমরা গরিব আমরা ভিক্ষুক!
তবু যেন ভগীদের দিন যায় না অস্ত।


রচনাকালঃ- ১২/১১/২০১৮

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

নির্জন রাতে


নির্জন রাতে,
শীতল চাঁদের আলোয়
তোমার হাত ধরে কত হেঁটেছি আমি;
ছড়িয়েছি তোমার তরে মুক্ত ভালোবাসা।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলে
হাতে নিয়ে একগুচ্ছ লাল গোলাপ,
সে কতদিন গিয়েছি তোমার বাড়ি।
দেখেছি সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বেলে,
পথের দিকে চেয়ে বসে আছো আমার অপেক্ষায়!
প্রত্যহ লাল গোলাপের সুবাসে
আনন্দে ভরে যেত তোমার মন।

রাতের আঁধার নামলে,
তোমার এলোমেলো মাথার চুলগুলো-
সুন্দর করে গুছিয়ে বেঁধেছ;
আয়নার সামনে একটুখানি মুচকি হেসে
আমার দেওয়া লাল টিপ পরেছ কপালে।
দুনয়ন জুড়ে নিত্রদ্রা নামলে
ঘুমিয়ে পড়েছ নীল সাড়ির আঁচল পেতে।

একাকী পালঙ্কে তুমি ঘুমিয়ে থাকতে,
যেন জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ আলোর পরশ মেখে
ঘুমিয়ে আছে বাবুই পাখি;
আর রাতের স্তব্ধতা তার চারিদিকে-
মেলে দিয়েছে ডানা।

এভাবে কেটে গেছে বহুদিন।

আজ আমি ক্লান্ত চোখে চেয়ে দেখি
নগরে ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছ তুমি
সেই অনেক আগে!
ধূলো বালিতে আচ্ছন্ন তোমার শরীর
যেন আজ অধীক ব্যস্ত,
একবার ফিরেও দেখনি, কখনো বোঝনি আমায়!
তুমি সুন্দরী মূর্তির ব্যস্ত পাথর!
তাই চলে গেছ দূরে-বহুদূরে।


রচনাকালঃ- ১১/১১/২০১৮

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

জনতা গ্যারেজ


এ দেশে রাজ করে অশুভ শক্তি
মুছে গেছে মন থেকে ঈশ্বরে ভক্তি,
মুখোশধারী শয়তান উল্লাশ করে।
অসহায়ের ঘর পুড়ে হয় ছায়
দিশাহীন পথের পথিক খুঁজে ঠায়
দিকে দিকে প্রজাগণ মরে!

মানব সেবার নামে বুনে জাল
সুকনো মরিচে ওঠে তীক্ষ্ণ ঝাল!
গর্দভ প্রজার পিঠে মারে লাঠি।
অগ্নিগর্ভ জমিনে করে রক্তের খেলা
বসেছে যেন কত দুর্নীতির মেলা,
বারংবার জ্বলে ওঠে দেশলাই কাঠি।

ক্ষমতার দাপটে কেড়ে নেয় অধিকার
আদালতের দ্বারে মেলেনা কেন সুবিচার?
কাপড়ে চোখ বাঁধা আইন অন্ধ!
চারিদিকে বাড়ে কেন এত লুটপাট
করে চর্মের দরদাম বসে লাশের হাট,
অবশেষে পালাবার পথ হয় বন্ধ!

মৌলবাদীর দল শিরে পরে টুপি
অনিষ্ঠ করে আনন্দে মগ্ন ঐ পাপী!
মিথ্যে বাণী শুনিয়ে দেয় কুমন্ত্র।
দানব পুজারী দেয় তরোয়ালে ধার
নিরাধার জনগণের ওপর করে প্রহার!
গোপনে চলে আতঙ্ক ছড়ানোর ষড়যন্ত্র।

দেশের বুকে আজ জ্ঞানের অভাব
বদলাতে হবে এবার মানবের স্বভাব,
গণতন্ত্রের স্বার্থে খোলো জনতা গ্যারেজ।
তোমরা শোনো কাঙ্গালের ফরিয়াদ
আগামী প্রভাতে কর শান্তির আবাদ,
তবেই দূর হবে সব অত্যাচারী ইংরেজ।


রচনাকালঃ- ০৯/১১/২০১৮

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

প্রতিক্ষিত বন


গভীর অরণ্যে চেয়ে দেখি
সেখানে খেলা করে উচু-নিচু গাছ,
দুপুরে সূর্যের আলো এসে পড়ে
সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে মাটিতে।

শুনি তার পাশে,
গঙ্গা নদীর জলের ছল-ছল শব্দ;
বিকেলে সোনালী রোদ্দুরের পরশে এই বন
প্রতিক্ষিত হরিণীর মতো শান্ত হয়ে থাকে।
লতায় পাতায় আবদ্ধ গাছপালাগুলো
দূর থেকে দেখে কেমন অস্পষ্ট মনে হয়,
বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় হৃদয়ে জাগে আতঙ্ক!

নীল দিগন্তের পারে মিশেছে কান্তার,
বাতাসের পরশ পেয়ে গাছের শাখাগুলো
বারংবার নড়েচড়ে ওঠে-
যেন তারা অতি ব্যস্ত!
আধো নীল আকাশের বুকে
গহন তার নিজের বর্ণনা মেলে ধরে।
সেই প্রতিক্ষিত হরিণী প্রতিক্ষণে-
প্রতিক্ষায় রত হয়ে বাতাসকে আলিঙ্গন করে।


রচনাকালঃ- ০৮/১১/২০১৮

মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

যুদ্ধ নয় শান্তি চায়


বিশ্বে জঙ্গী গষ্ঠি হলো ঙআই-এস
মানব মেরে করে সর্বশেষ,
জলে ডুবিয়ে আগুনে পুড়িয়ে
দেয় তরবারির আঘাতে ধূলোয় গুড়িয়ে!
সন্ত্রাসে গড়ে তুলে বিভেদ
আবার কখনো করে শিরশ্ছেদ!
অসহায় প্রজা নিরবে গুলি খায়
ঐ অত্যাচারীদের নরকেও হবেনা ঠায়!
ধরণীর বুকে জঙ্গী গষ্ঠির দল
মুখোশের আড়ালে দেখায় বাহুবল,
বড় শহরে ফেলে বোমা
শবের স্তুপ করে জমা।
আহা তারাতো কেউ মুসলিম নয়
একদিন হবে দানবের পরাজয়,
ইসলাম কখনো চায় না অশান্তি
এই ধর্মে আছে শুধু শান্তি।
টুপি-দাড়ি থাকলেই মুসলিম হওয়া যায়?
আজ নরপশু বিবাদের গান গায়,
দেশের মাটিতে ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাসবাদী
সদা কুমন্ত্রণা দেয় ঐ মিথ্যাবাদী।
সঠিক তথ্য চেপে গড়ে বিভ্রান্ত
দাঙ্গার কারণে দেশ অশান্ত,
প্রকাশ্য দিবালোকে করে অপকর্ম
শয়তানের দল মানেনা ধর্ম!
পৃথিবীর জমিন হয় রক্তে লাল
ঐ সন্ত্রাসবাদী পেতে রাখে জাল,
হে যুব সমাজ ভাঙ্গতে বাহুবল জঙ্গীদের
আমি আহ্বান জানায় তোদের।
যদি প্রাণ যায় যাক
আজ দিচ্ছি বিদ্রোহের ডাক!
সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে আয়
আমরা যুদ্ধ নয় শান্তি চায়।


রচনাকালঃ- ০৬/১১/২০১৮

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮

খুঁজি প্রকৃটির বহুরূপ

অঘ্রায়ণের আগমনে,
দেখলাম গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা;
সবুজ ঘাসের ওপর শিশিরের আবরণ
বলে অঘ্রায়ণ এল পৃথিবীর বনে;
ঝরে পড়া হলুদ পাতা দেখে মনে হলো
ঘাসের ওপর যেন কেউ বিছানা পেতেছে।

সূর্য ডুবে গেল,
সন্ধ্যাকাশের লাল বর্ণের ঝলক-
পড়লো পুকুরের জলের ওপর;
ধীরে-ধীরে আঁধার নেমে এল পৃথিবীতে।
বন-জঙ্গলের মুখে যেন স্তব্ধতা!
পথে হাঁটলাম তবু পাখিদের দেখা মেলেনা
তারা হয়তো হারিয়ে গেছে কুয়াশার ঘোরে,
পথে কিছু বাদুড়ের দেখা পেলাম
রাতের শীতল বাতাস এসে বিধছে বুকে।

ঐ দূরে,
সোনালী ধানক্ষেতের অপারে-
দেখতে পেলাম কিছু পাখিদের বাসা;
জামের ডালে ক্লান্তির আবরণ মেখে
তারা সব একত্রে বিশ্রামে মগ্ন হয়ে আছে।
ঘাস ফুলের পাপড়ী রঙ্গিন প্রজাপতির
হৃদয়ের মতো যেন নীরবতা ভর করছে!
তবু আমি হাঁটলাম ঐ সবুজ প্রান্তরের দিকে।

মাঠের ধারে,
অনেকগুলো ঝরা ফল পড়ে আছে;
ঝোপ-ঝাড়ের পাতাগুলো মাঝে-মাঝে-
বাতাসের স্পর্শ পেয়ে নড়ে চড়ে উঠছে।
চাঁদের মুক্ত আলোয় ঐ সোনালী ধানের
শীষ প্রতিক্ষণে খেলা করছে
সে কি এক অপরূপ দৃশ্য!
কীট-পতঙ্গ অপেক্ষায় মগ্ন সূর্যদয়ের।

অফুরন্ত সময়,
যেন কোন শেষ নেই তার!
যেন এক অবাধ আকাশ;
সবুজ বৃক্ষ নিজ বিকাশে নীরব হয়ে আছে।


রচনাকালঃ- ০২/১১/২০১৮

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

আঁখিজল


বিরহে কাতর হৃদয় করে টল-মল,
কি করে লুকাব মোর আঁখিজল!

দিনে কাঁদে পাখি রাতে কাঁদে ফুল
শোনেনা বারণ উচলিয়ে ওঠে দুকুল,
আজ ভরডুবি শ্রাবণের অথই জলে
মোর ললাট রেখা রয়ে গেল বিফলে!

ভাঙ্গা মনের দ্বারে পোড়া এ আঁখি
নিষেধ মানেনা বারংবার দেয় ফাঁকি,
নোনা বারি আর লুকাব কতকাল
কেঁদে-কেঁদে নয়নে পড়েছে মায়াজাল!

ছলনা করে হাসে দহনে ঝলসানো মন,
দুঃস্বপ্ন দেখে উড়ে যায় নিশিথের শয়ন!


রচনাকালঃ- ৩০/১০/২০১৮

শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

চাঁদনী রাতে


চাঁদনী রাতে কাঁদে চাঁদমুখ,
হারিয়ে প্রেয়সী যেন চির-সুখ!

একলা জেগে কাটে কতো রজনী
উতলা বিধুর প্রতিক্ষিত হরিণী,
কে ডাকে তাকে প্রেমিক উন্মাদে
গোপনে সরোজিণী লুকিয়ে কাঁদে!

কতো নিশি জেগে কাটায় সজনী
কাঁদে তার মন কাঁপে অবনী!
বিরহের তরী আঁখি-জলে ভেসে যায়
অরণ্যে তরু-লতার ছায়া ভয় পাই।

কাঁদে প্রতিক্ষণে গগনের ইন্দু
প্রতি পলকে ঝরে পড়ে সহস্র বিন্দু!
জলদে ঢেকে হয় অম্বর অবশ
শিকলে জড়িয়ে বিহঙ্গিণী বিবশ।


রচনাকালঃ- ২৬/১০/২০১৮

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

থমকে দাঁড়ায়


থমকে দাঁড়ায় আমি গভীর বনে
কে হেঁটে যায় একলা আনমনে,
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

নীল সাড়ির ঘন আঁচল
বন-লতায় জড়িয়ে খায় দোল,
মাতাল পবনের পরশ পেয়ে
কুন্তল যায় দোল খেয়ে।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

সে একলা হেঁটে যায়
বন-লতা তার স্পর্শ চায়,
বৃক্ষের পুস্প আজ মরতে
চায় খোঁপা জড়িয়ে ধরতে;
বসন্তের কোকিল গান গায়।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

ছুটে গিয়ে উদার মনে
ডুবে যায় তার নীল নয়নে,
হরিণী যেন লুকায় লাজে
দুহাতে কাঁচের চুড়ি বাজে;
মলিন বদন দেখি পাতার ঝরোকায়।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।


রচনাকালঃ- ২৪/১০/২০১৮

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

অপূর্ণ প্রেম


অবন্তী দাঁড়িয়ে থাকে
অপেক্ষা করে আমার,
মনে-মনে ভাবে এই হয়তো আসব আমি;
তার হাত ধরে নিয়ে যাব দূর অজানায়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়
তারপর বিকেল মিশে যায় সন্ধ্যায়,
তবু আমি আসিনি সেদিন!

অবন্তীর মনে হাজারো প্রশ্ন জাগে-
কেন আমি আসিনি সেদিন?
কেন ফেলে রেখে গেছি তাকে?

আমার এক ঝঞ্ঝার জীবন,
প্রতিদিন সকালে শুরু হয় সংগ্রাম;
রাত হলে ডুবে যায় অনিশ্চয়তার শীতল আঁধারে;
আমার কষ্টের দিন-রাত যেন শেষ হয়না আর!

একদিন হটাৎ আলোর ঝলকানি নিয়ে-
আসে এক সম্ভাবনার আশা,
আমি ভাবি হয়তো পাব জ্যোৎস্নার দেখা
অবশেষে একটা দিন-ক্ষণ ঠিক করি।
কিন্তু সেদিন জানতে পারি
অবন্তীর জীবন চলে সংগ্রামের চাকায়!
অনেক দায়িত্ব তার
তার অনেক সুখ পাওনা জীবনের কাছে,
তখন শঙ্কায় দুলে ওঠে আমার মন!
যে সুখ অবন্তীর পাওনা-
সে পাওনা মেটাবার সাধ্য নেই আমার।

হটাৎ একদিন,
এক রাজ পুত্র আসে তার জীবনে
অনেক আনন্দের সারি-সারি উপহার নিয়ে!

এখন অবন্তী রাজ পুত্রের সঙ্গে
অনেক সুখে জীবন কাটায়,
আমিও আছি যেমন তেমন!
আমার জীবনে শুধু একটাই চাওয়া
সে যেন সুখে থাকে ভালো থাকে।


রচনাকালঃ- ২৩/১০/২০১৮

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

বিরহের স্মৃতি

মোর অন্তর আজ বিরহের দহনে
কাঁদি শুধু নীরব নিশীথে গোপনে,
উদ্বেগে মগ্ন নিত্য একাকী আনমনে
কুলায় ভাঙে বিহঙ্গের ঝাঁক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

নসিব কোনদিন বদলাবেনা জানি
সওগাত দিয়েছে সে চোখের পানি,
পিছন ফিরে তুমি দিওনা হাতছানি
এ ভাবেই সব পড়ে থাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

সভ্যতার ইমারতে লেগেছে কলঙ্ক
চিত্তে তোমায় না-পাবার আতঙ্ক,
আপন শোকে দেখি নভ মৃগাঙ্ক
আঁধির প্রকোপে খায় ঘুরপাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

অগতির অস্তিত্ব তোমার মনে
যদি বেদনা জাগায় বক্ষের মাঝখানে,
তবে ভুলে থেকো আমায় প্রতিক্ষণে
যেন না থাকে কোন ফাঁক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

বসন্তের কোকিল হয়ে শুনিয়েছি গান
চায়নি কখনো তো তার প্রতিদান,
তুমি করেছ মোর ভালবাসা প্রত্যাক্ষাণ
তবুও রয়েছি আজো নির্বাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

প্রাণ কাঁদে বিষাদের গান গেয়ে
প্রতিক্ষিত আঁখি থাকে পথ চেয়ে,
চলি দিশাহারা তপবন বেয়ে
তবু তোমার অঙ্গনে শ্বেতাভ ছাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

জমিনে ঝরে পুস্প দ্যুলকে বারিধারা
উত্তাল নদ আজও হয় দিশাহারা,
উদকের অভাবে বৃক্ষ যায় মারা
তেমনই মোদের আখ্যান পতন পাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

বিদার ভুবনে তুমি ফুটিয়েছিলে ফুল
কেন করলে বলো এমন ভুল,
মিলবেনা কভু তটিনীর দুই কূল
তোমার প্রণয়ে হই অবাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!

অপরাধ করেছি ওগো মোর প্রিয়তমা
কেন এতো আশা রেখেছিলাম জমা,
বিদায় ক্ষণে যেন করেদিও ক্ষমা
লুপ্ত হয়েছে শিখীর ডাক।
স্মৃতিগুলো সব মুছে যাক!


রচনাকালঃ- ০৪/০৫/২০১৮

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

ইংরেজ রাজত্ব

ভূখণ্ডে করে ইংরেজ রাজ
গদির উন্মাদে ছুটে দুর্দান্ত,
লোচনে নেই তবু লাজ
অপরাধের হিসাব থাকে অফুরন্ত।

রাজ্যে শুরু হলে ভোট
থাকে প্রভাব হারানোর ভয়,
গদিয়ানের আদেশে বসে কোট
ওরা মস্তক নোয়াবার নয়!

সেখানে আসে বহু বহিরাগত
পরিধান করে কালো বস্ত্র,
রূপ যেন পিশাচের মতো
নড়ীতে তুলে নেয় অস্ত্র।

চক্রে থাকে দৈত্যের নীড়
খুঁজে ফিরে প্রতীকের সূত্র,
দাঙ্গা লাগায় অবৈধ ভিড়
জমা পড়েনা মনোনয়ন পত্র।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ভোটে জিতে
প্রতাপের দল হয় অধীর,
কেদারার প্রাবল্য লুটে নিতে
তীক্ষ্ণ প্রহারে ঝরায় রুধির!

দেশের বিধান কেন নির্বাক?
রঙ্গ দেখে পাতকী ভক্ত!
দাও আজ দ্রোহের ডাক
তোমাদের হতে হবে শক্ত।

জেগে ওঠো সভ্যতার মানব
নিকুচি করো ওদের অস্তিত্ব!
বদ হবে ঐ নিগ্রো দানব
সমাজে থাকবেনা ইংরেজ রাজত্ব।


রচনাকালঃ- ২০/০৪/২০১৮