সার্চ করুন

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

আঁখিজল


বিরহে কাতর হৃদয় করে টল-মল,
কি করে লুকাব মোর আঁখিজল!

দিনে কাঁদে পাখি রাতে কাঁদে ফুল
শোনেনা বারণ উচলিয়ে ওঠে দুকুল,
আজ ভরডুবি শ্রাবণের অথই জলে
মোর ললাট রেখা রয়ে গেল বিফলে!

ভাঙ্গা মনের দ্বারে পোড়া এ আঁখি
নিষেধ মানেনা বারংবার দেয় ফাঁকি,
নোনা বারি আর লুকাব কতকাল
কেঁদে-কেঁদে নয়নে পড়েছে মায়াজাল!

ছলনা করে হাসে দহনে ঝলসানো মন,
দুঃস্বপ্ন দেখে উড়ে যায় নিশিথের শয়ন!


রচনাকালঃ- ৩০/১০/২০১৮

শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

চাঁদনী রাতে


চাঁদনী রাতে কাঁদে চাঁদমুখ,
হারিয়ে প্রেয়সী যেন চির-সুখ!

একলা জেগে কাটে কতো রজনী
উতলা বিধুর প্রতিক্ষিত হরিণী,
কে ডাকে তাকে প্রেমিক উন্মাদে
গোপনে সরোজিণী লুকিয়ে কাঁদে!

কতো নিশি জেগে কাটায় সজনী
কাঁদে তার মন কাঁপে অবনী!
বিরহের তরী আঁখি-জলে ভেসে যায়
অরণ্যে তরু-লতার ছায়া ভয় পাই।

কাঁদে প্রতিক্ষণে গগনের ইন্দু
প্রতি পলকে ঝরে পড়ে সহস্র বিন্দু!
জলদে ঢেকে হয় অম্বর অবশ
শিকলে জড়িয়ে বিহঙ্গিণী বিবশ।


রচনাকালঃ- ২৬/১০/২০১৮

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

থমকে দাঁড়ায়


থমকে দাঁড়ায় আমি গভীর বনে
কে হেঁটে যায় একলা আনমনে,
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

নীল সাড়ির ঘন আঁচল
বন-লতায় জড়িয়ে খায় দোল,
মাতাল পবনের পরশ পেয়ে
কুন্তল যায় দোল খেয়ে।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

সে একলা হেঁটে যায়
বন-লতা তার স্পর্শ চায়,
বৃক্ষের পুস্প আজ মরতে
চায় খোঁপা জড়িয়ে ধরতে;
বসন্তের কোকিল গান গায়।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।

ছুটে গিয়ে উদার মনে
ডুবে যায় তার নীল নয়নে,
হরিণী যেন লুকায় লাজে
দুহাতে কাঁচের চুড়ি বাজে;
মলিন বদন দেখি পাতার ঝরোকায়।
নূপুরের ছম-ছম শব্দ শুনতে পাই।


রচনাকালঃ- ২৪/১০/২০১৮

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

অপূর্ণ প্রেম


অবন্তী দাঁড়িয়ে থাকে
অপেক্ষা করে আমার,
মনে-মনে ভাবে এই হয়তো আসব আমি;
তার হাত ধরে নিয়ে যাব দূর অজানায়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়
তারপর বিকেল মিশে যায় সন্ধ্যায়,
তবু আমি আসিনি সেদিন!

অবন্তীর মনে হাজারো প্রশ্ন জাগে-
কেন আমি আসিনি সেদিন?
কেন ফেলে রেখে গেছি তাকে?

আমার এক ঝঞ্ঝার জীবন,
প্রতিদিন সকালে শুরু হয় সংগ্রাম;
রাত হলে ডুবে যায় অনিশ্চয়তার শীতল আঁধারে;
আমার কষ্টের দিন-রাত যেন শেষ হয়না আর!

একদিন হটাৎ আলোর ঝলকানি নিয়ে-
আসে এক সম্ভাবনার আশা,
আমি ভাবি হয়তো পাব জ্যোৎস্নার দেখা
অবশেষে একটা দিন-ক্ষণ ঠিক করি।
কিন্তু সেদিন জানতে পারি
অবন্তীর জীবন চলে সংগ্রামের চাকায়!
অনেক দায়িত্ব তার
তার অনেক সুখ পাওনা জীবনের কাছে,
তখন শঙ্কায় দুলে ওঠে আমার মন!
যে সুখ অবন্তীর পাওনা-
সে পাওনা মেটাবার সাধ্য নেই আমার।

হটাৎ একদিন,
এক রাজ পুত্র আসে তার জীবনে
অনেক আনন্দের সারি-সারি উপহার নিয়ে!

এখন অবন্তী রাজ পুত্রের সঙ্গে
অনেক সুখে জীবন কাটায়,
আমিও আছি যেমন তেমন!
আমার জীবনে শুধু একটাই চাওয়া
সে যেন সুখে থাকে ভালো থাকে।


রচনাকালঃ- ২৩/১০/২০১৮