সার্চ করুন

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৯

পথ চাওয়া


নাই বা পেলাম ওগো প্রিয় তোমার ভালোবাসা,
দিনের শেষে ফুরায় যেন আমার সকল আশা!
মন ভোলানো রূপ খানি
দেখে তব সবাই জানি,
ওরা করে তোমায় নিয়ে মিথ্যে অঙ্গিকার
মনের আঙিনায় তুমি স্বপ্নের রাণী এ আমার অহঙ্কার।

সবাই যখন তোমাকে নিয়ে দেখবে রঙ্গিন স্বপ্ন,
দূর থেকে রচতে তোমায় গভীর ধ্যানে হব মগ্ন।
নোনা জলে অস্পষ্ট আঁখি হবেনা ক নগ্ন!
বিরহে কাতর মনে
রচব কবিতা নির্জন গহনে,
নীল কলমে দুলবে হয়ে অশ্রু বেদনার!
বুকের ভুবন জুড়ে থাকবে তুমি এ আমার অহঙ্কার।

যেদিন চিরতরে অস্ত যাবে এ জীবনের সবিতা,
পড়ে থাকবে পৃথিবীর বুকে বিরহের সেই কবিতা!
উঠবে চাঁদ নীল দ্যুলকে
দেখবে চেয়ে অশ্রুসিক্ত পলকে!
উর্ধ্বপানে চেয়ে জাগবে রজনী নির্জনে
আঘাত পেলে আমার কথা পড়বে তোমার মনে।
চার দেয়ালের মাঝে বাড়বে সেদিন দুঃখ হাহাকার!
হৃদয় মাঝে বসিয়েছি তোমায় এ আমার অহঙ্কার।

যখন তোমার বুকের মাঝে জাগবে তীব্র ব্যাথা,
উঠবে কেঁদে সেদিন প্রিয় ভিজবে শয়নের কাঁথা!
বুঝবে না কেউ তোমার কথা -
নীরবে সবাই হাসবে;
গোপনে প্রিয় নয়ন জলে ভাসবে!
নতুন করে সেই কবিতা আবার তুমি পড়বে
একাকী নিরালায় আমায় নিত্য খুঁজবে।
শীতল বাতাসের পরশে হাসনাহেনা উঠবে দুলে,
ওরা তোমায় দুদিন বাদে যাবে ভুলে।
আমার কবিতার অক্ষরে অক্ষরে
থাকবে স্মৃতি বেদনার লহরে!
থাকবে তোমায় না পরানো বেলি ফুলের হার
মনের গভীরে থাকবে তুমি এ আমার অহঙ্কার।

সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালবে যখন সাধের কুঁড়ে ঘরে,
আবেগী মনে ভাববে প্রিয় সেই কবির তরে।
স্নিগ্ধ শশী উঠবে নীলে
প্রান্তরে আকাশ-মাটি যাবে মিলে,
থাকব না আমি; থাকবে তুমি সবুজ ধারাতে
শিউলি ফুলের গাঁথবে মালা খোপায় জড়াতে।
তুমি আমার প্রিয়তমা, আকাশ ভরা চাঁদ,
নবরূপে পাতবে ওগো ব্যাকুল মায়ার ফাঁদ!
নীল রঙ্গা শাড়ি পরে
গোপন নয়নে খুঁজবে কারে?
সমুদ্র তটে উঠবে জোয়ার উঠবে ঢেউয়ের বাণ
চির দুঃখী কবির তরে কাঁদবে তোমার প্রাণ!

নাই বা এলে প্রিয় আমার মনের দ্বারে,
তোমায় রেখে গেলাম সুরের স্বয়ম্বরে।
জানিনা তুমি কার আশায় আছো পথ চেয়ে,
আমায় ভুলে যাবে হয়ত তাকে খুঁজে পেয়ে;
সেসব কথা জানার নেই কোন অধিকার
কল্পনায় আঁকা চিত্র তুমি এ আমার অহঙ্কার।


রচনাকালঃ- ২৫/০১/২০১৯

শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

ইচ্ছেডানা


হয়ত তোমায় পাব একদিন খুঁজে,
বৃক্ষ থেকে তুলে রক্তিম গোলাপ;
তোমার খোপায় দিব গুঁজে।
পাব তোমায় খুঁজে!

ঐ সুদূরে রায়ের ক্ষেতে
মৌমাছি প্রজাপতি উঠছে মেতে,
ওইখানে তুমি ছুটে এসে
ধরবে আমার হাত মুচকি হেসে।
নেবে সবি বুঝে;
পাব তোমায় খুঁজে!

ঐ পথের শেষে সবুজ বনের ওপারে
না পাবার বেদনা লুকিয়ে খোঁজো যারে,
ঘোমটা তুলে দেখবে আকাশ
আনবে খবর শীতল বাতাস;
হৃদয়ের বাঁধন যাবে টুটে!
অরণ্যের মাঝে আসবে ছুটে।
দিবে চিঠি নীল খামের ভাঁজে;
পাব তোমায় খুঁজে!


রচনাকালঃ- ১১/০১/২০১৯

শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৯

আমি যদি প্রকৃতি হতাম

আমি যদি প্রকৃতি হতাম
আর তুমি হতে যদি হরিণী।

তবে শীতের প্রথম পরশ মাখা বিকেলে,
কোন এক সবুজ মাঠের প্রান্তে;
ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত শর্ষের ক্ষেতে;
স্নিগ্ধ গোধূলি লগ্নে তোমার হাত ধরে
সেই নির্জন স্থানে ছুটে যেতাম।

তোমার প্রতীক্ষিত নয়নের পানে চেয়ে,
কোমল হস্তে রক্তিম গোলাপ দিয়ে
বলতাম না বলা সেই কথা;
তুমি লজ্জায় মুখ লুকিয়ে নিতে আঁচলের আড়ালে!
নিমেষে মিলে মিশে একাকার হত দুটি মন।
ঝরে পড়ত অজস্র সুগন্ধি বনফুল্
লতাপাতার ফাঁকে থাকা নীড় থেকে
বিহঙ্গরা কিচিমিচি শব্দে গায়তো গান;
ময়ুর তার পেখম মেলে জানাত স্বাগত;
আমাদের দিশাহীন আনন্দের বর্ষণে
কেঁপে উঠতো দ্যুলক!

আমাদের নয়নে উল্লাশের ছায়া
আমাদের কন্ঠে বেজে উঠতো গান।

হয়তো গা ভাসিয়ে দিতাম জ্যোৎস্নার আলোয়
হয়তো অপূর্ণ তৃষ্ণা মিটতো পূর্ণিমা রাতে,
একটা দীর্ঘশ্বাসের পর ছেয়ে যেত স্তব্ধতা
ধীরে-ধীরে নেমে আসতো তৃপ্তিময় শান্তি;
তবে আমাদের জীবনে শূন্যতা আর থাকত না!
থাকত না প্রণয়ে ব্যর্থতার কোন কষ্ট!
তবে চিরতরে ঘুচে যেত জীবনের অন্ধকার।

আমি যদি প্রকৃতি হতাম
আর তুমি হতে যদি হরিণী!


রচনাকালঃ- ০৪/০১/২০১৯